1. [email protected] : Admin : sk Sirajul Islam siraj siraj
  2. [email protected] : admi2017 :
  3. [email protected] : Sk Sirajul Islam Siraj : Sk Sirajul Islam Siraj
ব্রেকিং নিউজ :
বিনোদন :: গান গাইতে গাইতে মঞ্চেই গায়কের মর্মান্তিক মৃত্যু!,  খেলার খবর : অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপ চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ, বিমানবন্দরে যুবাদের জানানো হবে উষ্ণ অভ্যর্থনা,

সমাবেশে যোগ দিতে রাজশাহী আসতে শুরু করেছেন বিএনপির নেতা-কর্মীরা

  • আপডেট টাইম : বৃহস্পতিবার, ১ ডিসেম্বর, ২০২২
  • ২৩০ বার পঠিত

অনলাইন ডেস্ক:: বিএনপির রাজশাহী বিভাগীয় সমাবেশ হবে শনিবার (৩ ডিসেম্বর)। তবে বুধবার সন্ধ্যার পর থেকেই সমাবেশস্থলে বিএনপির নেতা-কর্মীদের ঢল নেমেছে। চাল, ডাল, মুড়িসহ অন্যান্য শুকনো খাবার নিয়ে দূর-দূরান্ত থেকে নেতা-কর্মীরা সমাবেশস্থলে আসতে শুরু করেছেন।

বিএনপি এই সমাবেশ করবে রাজশাহীর ঐতিহাসিক মাদ্রাসা ময়দানে (হাজি মুহম্মদ মুহসীন উচ্চবিদ্যালয় মাঠে)। বুধবারই দলটিকে এখানে সমাবেশ করার অনুমতি দিয়েছে পুলিশ। এরপর থেকেই শুরু হয়েছে মঞ্চ প্রস্তুত এবং মাঠে বাঁশ-খুঁটি পোঁতার কাজ। তবে পুলিশের শর্ত অনুযায়ী, যারা মাঠে কাজ করছেন, কেবল তাঁরাই সেখানে প্রবেশ করতে পারছেন।

দূর-দূরান্ত থেকে আসা নেতা-কর্মীরা এখনো মাদ্রাসার ময়দানে প্রবেশ করতে পারছেন না। তাঁরা আশ্রয় নিয়েছেন মাদ্রাসা মাঠের পাশে রাজশাহীর হযরত শাহমখদুম (রহ.) কেন্দ্রীয় ঈদগাহ ময়দানে। বুধবার সন্ধ্যা থেকে আসা নেতা-কর্মীরা রাতটি এখানে কম্বল মুড়ি দিয়ে খোলা আকাশের নিচেই কাটিয়েছেন। তবে নেতা-কর্মীদের কোনো কোনো দল তাঁবু টানিয়েছে।

বুধবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে ঈদগাহ মাঠে গিয়ে দেখা যায়, চাল, ডাল, শুকনো খাবার, হাঁড়ি-পাতিল, লাকড়ি ও ব্যাগে প্রয়োজনীয় গরম কাপড় নিয়ে নেতা-কর্মীরা এখানে এসেছেন। বেশির ভাগ নেতা-কর্মী বাতাস ঠেকাতে একপাশে শুধু পলিথিনের বেড়া দিয়ে কম্বল জড়িয়ে শুয়ে পড়েছেন। কোথাও কোথাও রান্নার আয়োজন চলছে। কোথাও স্লোগান দিচ্ছেন নেতা-কর্মীরা। রাজশাহীর স্থানীয় নেতারা ঘুরে ঘুরে তাঁদের সঙ্গে কথা বলছিলেন।

বগুড়ার সারিয়াকান্দি উপজেলার একটি ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আলিনুর রহমান আন্না বলেন, ‘বৃহস্পতিবার থেকে পরিবহন ধর্মঘট শুরু হচ্ছে বলে আগের দিনই আমরা চলে এসেছি। আমরা প্রায় ৪০০ নেতা-কর্মী চারটি বাসে করে আসছিলাম। রাজশাহীর পবা উপজেলার নওহাটা কলেজ মোড়ে পুলিশ আমাদের বাস থেকে নামিয়ে দিয়েছে। পুলিশ গাড়িগুলো আটকে রেখেছিল। এরপর প্রায় ১৩ কিলোমিটার রাস্তা আমরা হেঁটে এসেছি।’

সিরাজগঞ্জের সলঙ্গা উপজেলা বিএনপির যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আনিসুর রহমান বাবু বলেন, ‘ধর্মঘটের আগেই সমাবেশে যোগ দিতে কয়েকটি বাস ভাড়া করে আমরা প্রায় ৫০০ জন এসেছি। নিজেদের জন্য প্রয়োজনীয় চাল, ডাল, লাকড়িসহ অন্যান্য জিনিসপত্র এনেছি।’

রাতে ঈদগাহ মাঠে খোলা আকাশের নিচে কম্বল মুড়ি দিয়ে শুয়ে ছিলেন পাবনার বেড়া পৌর স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম-আহ্বায়ক জহুরুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সরকারকে ‘লাল কার্ড’ দেখাতে সব বাধা অতিক্রম করে আমরা তিন দিন আগেই সমাবেশস্থলে এসে হাজির হয়েছি। যত কষ্টই হোক, সমাবেশ সফল করেই ফিরব আমরা।’

এদিকে রাজশাহীর এই সমাবেশে প্রায় ১৫ লাখ মানুষের সমাবেশ করার ঘোষণা দিয়েছে বিএনপি। এই সমাবেশের আগে গত ২৬ নভেম্বর মহাসড়ক থেকে নছিমন, করিমন, ভটভটিসহ অবৈধ যানবাহন চলাচল বন্ধ করাসহ ১১টি দাবি জানায় পরিবহন মালিক সমিতি। দাবি আদায় না হলে ১ ডিসেম্বর থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য পরিবহন ধর্মঘটের ডাক দেওয়া হয়।

তবে এসব দাবি-দাওয়ার ব্যাপারে প্রশাসনের কোনো পর্যায় থেকে পরিবহন মালিকদের সঙ্গে আলোচনা হয়নি। ফলে আলটিমেটাম অনুযায়ী পরিবহন ধর্মঘট শুরু হয়েছে। বিএনপির পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, এই পরিবহন ধর্মঘটের সঙ্গে মালিক-শ্রমিকের কোনো সম্পৃক্ততা নেই। সমাবেশে নেতা-কর্মীদের আগমন ঠেকাতে এই ধর্মঘট সরকারের চাপিয়ে দেওয়া। এর আগেও বিএনপির অন্যান্য বিভাগীয় সমাবেশের আগে ওই এলাকায় ধর্মঘট হয়েছে।

প্লিজ আপনি ও অপরকে নিউজটি শেয়ার করার জন্য অনুরোধ করছি

এ জাতীয় আরো খবর..